ব্রেকিং নিউজ
মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ১১ মুসল্লিকে হত্যা ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্রের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন "সুন্দরবন নিউজ" ‘কেস খেলবা, আসো অভিনেত্রী নিপুণকে ডিপজল হাদিসের প্রভাষক শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুধা রানীর ইভটিজিংয়ের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ায় জাবি ছাত্রীকে অর্থদণ্ড এবং দুই ছাত্র বহিষ্কার খুলনা পাইকগাছায় ২১বছর পর ৫৫টি পরিবার পেল নতুন যাতায়াতের রাস্তা
×

উমর ফারুক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৫/১২/২০২৩, ১২:২৭:০৭ AM

স্বামীর খোঁজে ভারতীয় নারী পঞ্চগড়ে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় ভারতের রিয়া বালা ( ৩২ ) নামের এক নারীর। রিয়া বালা ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় ভারতের রিয়া বালা ( ৩২ ) নামের এক নারীর। রিয়া বালা ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে।

জানা গেছে বিটু রায় ভারতের জলপাইগুড়িতে গিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রিয়া বালাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রায় এক মাস ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিটু। এরপর দেশে ফিরে স্ত্রী রিয়া বালার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। 

 তাই ভারত থেকে এসে ভিসা-পাসপোর্টের ঠিকানা অনুযায়ী স্বামীর বাড়িও খুঁজে পান। কিন্তু তিন দিনেও স্বামীর দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেন রিয়া বালা । বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে, বুধবার (২৯ নভেম্বর) স্বামীর খোঁজে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন রিয়া বালা। ঠিকানা অনুযায়ী বিটুর বাড়িতে যান। কিন্তু তার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিটু। তিনদিন ধরে স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান। 

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তেঁতুলিয়া মডেল থানার নারী ও শিশু সেলে তার থাকার ব্যবস্থা করেন। বিটুর বাবা অখিল চন্দ্র রায় বলেন, এসব ঘটনায়  আমরা কিছুই জানিনা। ছেলে ফিরে আসলে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব । উপজেলা নির্বাহী অফিসার , ফজলে রাব্বি বলেন, নিরাপত্তা চেয়ে ভারতীয় ওই নারী ফোন কররেছিলেন। পরে তিনি ফিরে যেতে সম্মত হলে শনিবার দুপুরের দিকে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে তাকে ভারতে তার বোনের কাছে পাঠানো হয়। সবশেষে শনিবার (২ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ফিরে যেতে হয় ওই নারীকে ।